১. সাঙ্গু নদীঃ- সাঙ্গু নদী বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়ন এর শেষ মাথা থেকে উৎপন্ন হয়েছে । থানচি উপজেলায় উংপন্ন হওয়ার পর এর অববাহিকা উত্তর দিকে মুখ নেয় এবং রোয়াংছড়ি এবং বান্দরবান সদর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বান্দরবান সদর পার হবার পর পশ্চিমমুখী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। সাঙ্গু নদীর দৈর্ঘ্য ২৯৪ কিঃমিঃ এবং অববাহিকা অঞ্চল আনুমানিক ৩৬০১ বর্গকিলোমিটার।
২. মাতামুহুরী নদীঃ-বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় উৎপন্ন দুই প্রধান নদীর অন্যতম হলো মাতামুহুরী নদী। মাতামুহুরী নদী বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চোখইং ইউনিয়নে উৎপন্ন হয়ে বান্দরবান জেলার বিস্তীর্ণ পাহাড়ী অঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় এসে ভাটিতে অনেক শাখা নদীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঐসব শাখা নদীর উপর আবার আনেক উপনদী এসে পতিত হয়েছে। এরপর প্রায় সবগুলি শাখা নদী মহেশখালী চ্যানেলে মিলিত হয়ে সাগরে পড়েছে। মাতামুহুরী নদীর দৈর্ঘ্য ১৭৬ কিঃমিঃ এবং অববাহিকা অঞ্চল আনুমানিক ১৮০০ বর্গকিলোমিটার।
৩. বাঁকখালী নদীঃ- বান্দরবান জেলার নাইখংছড়ি উপজেলার দোচারী ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকা থেকে বাকখালী নদী উৎপন্ন হয়ে রামু ও কক্সবাজার সদর উপকেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মহেশখালী চ্যানেলে পতিত হয়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬৯ কিলোমিটার এবং অববাহিকা অঞ্চল ৫৭২ বর্গকিলোমিটার।
সাঙ্গু-মাতামুহুরী-বাঁকখালী নদী অববাহিকা অনুমানিক ২১°৯’N থেকে ২২°২৪’N অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৬’E থেকে ৯২°৪৩’E দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস